1. argupress17@gmail.com : MS Islam Argu : MS Islam Argu
  2. zakircomputerit@gmail.com : ZTV Online : ZTV Online
  3. imranjeshan@gmail.com : ZTV Online : ZTV Online
  4. rasel01723@gmail.com : ZTV Online : ZTV Online
  5. admin@ztvonline.tv : ZTV Online : ZTV Online
এস এম ইকবাল রুমীর উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি অনুষ্ঠানে আব্দুল করিম বাবু (ভিডিও) - ZTV Online
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন

এস এম ইকবাল রুমীর উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি অনুষ্ঠানে আব্দুল করিম বাবু (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • প্রকাশ: শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০১৯
  • ৭৯৯ বার পড়া হয়েছে

প্রাচ্যের ডান্ডি বলে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ। একদিকে শীতলক্ষ্যা নদী অন্যদিকে বুড়িগঙ্গা নদী। শীতলক্ষা বুড়িগঙ্গার মাঝখানে যে শহরটি ২০০ বছর যাবৎ অতিক্রম করছে। এই শহরে অনেক স্বনাম ধন্য ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করেছেন। এই শহরে অনেক রাজনীতি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আজ তারা দেশের মধ্যে ইতিহাস হয়ে আছেন, চলমান গতিতে নদীর ঢেউয়ের মতো বেয়ে চলছে দিন। এগিয়ে চলছে দেশ। এগিয়ে যাচ্ছে মানুষ। আমরা নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলী ঘুরে সন্ধ্যান করতে পারছি কিছু মানুষ। যারা নিজের জন্য নয়। তাদের জন্মই হয়েছে মানুষের সেবা করার জন্য তারা ক্ষণজন্ম হিসেবে তাদেরকে মানুষ চিনে থাকে ঠিক তেমনি একজন ব্যক্তির কাছে আমরা এসেছি। যিনি জীবনের সূচনা লগ্ন থেকে জনগনের মাঝে নিজেকে জড়িয়ে আছে। জনগনের সাথেই কাজ করে চলছেন। বিশেষ অতিথি অনুষ্ঠানে আজকে উপস্থিত আছে নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলার আব্দুল করীম বাবু। আমরা ১৭নং ওয়ার্ডের সার্বিক সমস্যা নিয়ে চলমান কার্যক্রম, আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা জেডটিভি চ্যালেনের পক্ষ থেকে উনার কাছে এসেছি আমরা এখন শুনবো বাবু ভাইয়ের আগামী দিনের পরিকল্পনা চলমান কার্যক্রম এবং কিভাবে উনি সেবা করে যাচ্ছেন এই ওয়ার্ডের মানুষ গুলির?

https://youtu.be/m-B0WT4hSoU

প্রশ্নঃ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হওয়ার পর এলাকার উন্নয়নে ইতি মধ্যে আপনি কি কি কাজ করেছেন?
উত্তরঃ- ধন্যবাদ জেড টিভি অনলাইন চ্যানেলকে। নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে আসার জন্য জেড টিভি চ্যানেলকে আমার ১৭ নং ওয়ার্ডবাসীর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে ধন্যবাদ। আপনি যে উন্নয়নের প্রশ্ন করেছেন। উন্নয়ন বলতে আমি যতটুকু বুঝি মানুষের সেবা দান করা। মানুষ বিশ্বাস করে ৫ বছরের যে ভোট অধিকার আমার উপর অর্পণ করেছে সেই বিশ্বাস রক্ষা করাটাই হচ্ছে আমার মূখ্য উদ্দেশ্য। আমি কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে এলাকার মধ্যে ড্রেনেজ যে সমস্যা, রাস্তাঘাটের যে সমস্যা ছিল তার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পূর্বে যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল আমার আমলে আসার পরে সেটা আমরা প্রায় ৫০ বছরের পরিকল্পনা অনুযায়ী সি সি ঢালাই এর মাধ্যমে ড্রেনেজ গুলো নির্মাণ করেছি এবং ব্যাপক আকারে উন্নয়ন হয়েছে। এখনও উন্নয়নের কাজ চলছে, এর পাশাপাশি সামাজিকতার সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করি। আমার এই এলাকাটি খুবই গরিব একটি এলাকা যে এলাকার মধ্যে মানুষের বসত প্রায় ৫০-৬০ হাজার লোকের কিন্তু ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ২০,০০০ সেই ২০ হাজার লোকের বিভিন্ন সমস্যা, জায়গা সম্পত্তি, রাস্তাঘাট, বিভিন্ন সমস্যা গুলি আমি সব সময় সমাধান করে থাকি। আমি আমার এলাকার মানুষ যে বিশ্বাস করে তা তাদের আবেগ দিয়ে নয় বিবেগ দিয়ে বিশ্বাস করে এবং তারা যে দায়িত্ব আমার উপর অর্পণ করেছে। সেই দায়িত্ব আমি পালন করছি।
প্রশ্নঃ দেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র দেশকে উন্নয়নের মহা স্বর্গেদ্বার করিয়েছেন। এটাকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
উত্তরঃ ধন্যবাদ, সর্বপ্রথম আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। তিনি উদ্যোগ নিলেন চলবে না, আমাদের জনগণের ও স্বকৃয় থাকতে হবে। তার পাশাপাশি তাকে সহযোগিতা করতে হবে। তাহলে একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। উনি যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যে ধরনের উন্নয়ন করেছে,আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আমি দেখেছি সমগ্র বাংলাদেশে হাইওয়ে থেকে শুরু করে যে ধরনের উন্নয়ন করেছে মানুষ যদি না দেখে তাহলে বিশ্বাস করতে পারবেনা। এটা আমরা বাঙ্গালী জাতি হিসেবে গর্বিত এবং একমাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যা দেখিয়েছেন বিশ্বের বাজারে আজকে আমরা গরীব রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিলাম যে গরীব রাষ্ট্রকে আজকে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
প্রশ্নঃ আমরা এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে জানতে পেরেছি। আপনি কমিশনার হওয়ার পর অনেক আগেই পাইকপাড়া ওয়াসার পানির ট্রাঙ্কি বিকলাঙ্গ হওয়ার পর নিজ উদ্যোগে তা চালু করে দিয়েছিলেন। কি মনে করে, তখন তো আপনি কমিশনার ছিলেন না, কেন তখন এটা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলবেন কি?
উত্তরঃ সত্যিকার অর্থে আমি একজন ব্যবসায়ী ঘরের সন্তান। ব্যবসায়িক জগৎ থেকে এসেছি। একটা মানুষের যত চাওয়া পাওয়া আল্লাহপাক ততটুকু দিয়েছেন। আমার বাবা অনেক ছোট রেখে আমাকে পৃথিবী থেকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন। সেই ছোটবেলা থেকে কর্মব্যস্ততার মধ্যে আমার প্রায় ২০টি বছর কেটে গিয়েছে। সংসার জীবনে আমার ছেলেমেয়ে সন্তানদের আমি সময় দিতে পারিনি। তো আল্লাহপাক যখন সাফল্য দান করেছে ব্যবসায় উন্নতি দান করেছে তখন আমি চিন্তা করেছি আমি আর ব্যবসা করবোনা। আমি আমার পরিবারকে নিয়ে আনন্দ এবং বিভিন্ন দেশ বিদেশে ঘুরে এই সময়গুলো কাটিয়ে দেব। কিন্তু আমি আমার মাকে অনেক সম্মান করি। আল্লাহু সুবাহানাতায়ালা, আল্লাহু গাফুরুর রহিম। এই মা জাতিকে অনেক সম্মান দিয়েছেন বলেছেন আমি আল্লাহ বলছি আমার পরে যদি কাউকে সেজদা দিতে বলতাম, মা জাতিকেই বলতাম। তো সেই সুবাধে তিনি বলেননি। কিন্তু একটি জিনিস মনে করি আমার মায়ের পায়ের নিচে আমার বেহেস্ত। আজকে মায়ের দোয়াতে আমি পরিপূর্ণ। সেই মায়ের নির্দেশেই আমি সামাজিকতায় এসেছি। আমি ব্যবসায়ী ঘরের সন্তান সামাজিকতা বুঝিনা। যখন আমার মা আমাকে নির্দেশ করলেন যে বাবা তুমি রেস্টে আছো ভালো কথা। এই সমাজের মানুষগুলো অনেক কষ্টে আছে। তুমি এই সমাজের মানুষের সাথে মিশো। কারণ সৃষ্টির সেরা জীব হচ্ছে মানুষ। এই মানব জাতিকে আল্লাহপাক অনেক ভালোবেসে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছে। তুমি মানুষের সেবা কর। আমার মায়ের নির্দেশেই আমি এই সেবায় নামলাম। আসলে সামাজিকতা কিছুই বুঝিনা। মিশতে মিশতেই, কারণ মায়ের পেটে থেকে কেউ শিখে আসেনা। পৃথিবীতে এসেই সমাজের সাথে মিশেই সবকিছু শিখতে হয়। এই সমাজের সাথে মিশে আমি সামাজিকতা শিখেছি এবং মানুষের সাথে মিলার যে স্বাদ সেটা আমি উপলব্দি করি। যে আসলে মানুষের সাথে মিলার যে আনন্দ সেটা না মিশলে বুঝা যায়না এবং মানব সেবা হচ্ছে পরম সেবা। আল্লাহ সুবহানাতালা গাফুরুর রহিম বলেছেন, আমি আল্লাহ বলছি, তোমরা যদি কোন দুস্থ গরীবের মাথায় একবার হাত দাও, আমি আল্লাহ স্বয়ং তোমার মাথায় হাত দিব।
সেই সুবাধে জীবনে চলার পথে জানা অজানা অনেক ভুল ক্রুটি করেছি। কারণ সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। আল্লাহ্ সুবাহানা তায়ালা গাফুরুর রহিম একটা মানব জাতিকে ফেরেস্তা থেকে বেশি সম্মান দিয়েছেন। সেই সম্মানের কথা চিন্তা করে এই মানব সেবায় এসেছি। এসে আমার মায়ের কথায় আমি ভুল করেনি। আমি কাজটি ভালই করেছি। কারণ মানুষের মুখে যখন আমি হাসি দেখি, মানুষের যখন উপকার করতে পারি। তার মুখের হাসি দেখলে আমার সমস্থ সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায় এবং এই ক্লান্তি দূর করতে গিয়ে আমি মানুষের সেবায় এসেছি। আসার পরে হঠাৎ করে একদিন সকাল বেলা, আমাকে এলাকার জনগণ বলতেছে, পাইকপাড়ার যেই পানির পাম্পটি সেটি বিকল হয়ে গেছে। ১৭ নং ওয়ার্ল্ডে প্রায় ৭০০ লোকের বসৎ। কিন্তুু ২০,০০০/= এর মতো ভোটার আছে। পানির অপর নাম হচ্ছে জীবন। আর এই পানির জন্য আমার নবীর বংশ অনেক কষ্ট করেছে। সেই একজন আল্লাহর বান্দা একজন নবীর উৎম্মত হিসাবে সেই পানির সমস্যাকে আমি প্রাইওরেটি দিয়ে তখন আস্তে আস্তে আমি নিজ উদ্যোগে প্রায় ৮০০ ফিট গভীর করে প্রায় ১৪ টি সামারসিবল পাম্প নিজ অর্থায়নে সেগুলি স্থাপন করেছি এবং ৬০ টি ১০০০ লিটারের গাজী ট্যাংক বিভিন্ন অলি গলিতে স্থাপন করেছি। পাশাপাশি প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে প্রতিটি অলি গলিতে ১৭নং ওয়ার্ডে। সেই পাম্প থেকে কালেকশন করে আজ অবদি এখন পযর্ন্ত আমার নিজের কষ্টের উপার্জিত টাকা দিয়ে আমি বিদ্যুৎ বিল এখন পযর্ন্ত পরিশোধ করছি এবং ওয়াশার যে সমস্যাটা হচ্ছে সেই পাম্পটা আমি ঠিক করেছি সরকারি উদ্যোগে কিন্তু যে পানির লাইনটি আমার এখন পযর্ন্ত সচল আছে এবং ওয়াশার পানি ১০০ বছর উপরে হয়ে যাবে পানির যে ময়লার ড্রেনের সাথে সংযুক্ত হওয়ার কারণে এখনও পযর্ন্ত পানি মুখে নিতে পারে না। অজু করতে পারে না, খেতে পারে না। তাই আমার এই চেষ্টা আজও পযর্ন্ত অখুন্ন আছে এবং আমার মৃত্যুর পরও এই পানির পাম্প পানির লাইনগুলো সচল থাকবে, পাশাপাশি এই এলাকার মধ্যে প্রায় ৪/৫ শত মতো এলইডি লাইট স্থাপন করেছি নিজ অর্থায়নে। যার বিদ্যুৎ বিল নিজের অর্থায়নে পরিশোধ করছি প্রায় ৮ বছর যাবৎ। আমার ওয়ার্ডকে আলোকিত করার কারণে এখান থেকে সেই সুবিধাগুলো এলাকাবাসী পেয়েছে সেগুলো হচ্ছে যে, মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই মাদকসেবন এগুলো থেকে এবং অন্ধকারের হাত থেকে তারা মুক্তি পেয়েছে এই আলোর কারনে।
প্রশ্ন ঃ- আপনার চলমান কার্যক্রম আপনি যেভাবে জনগণের পাশে কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষ তো সব সময় একটা প্রতিদান চায়। আপনার ওয়ার্ডের জনগণ আপনাকে কিভাবে মূল্যায়ন করছে?
উত্তরঃ- আসলে মানুষের উপকার করার জন্য প্রতিদান চাই আমার সৃষ্টি কর্তার কাছে। তারপরও এই পৃথিবীতে কিছু পাওয়ার আশা করে মানুষ এমন ভাবে মূল্যায়ন করেছে যা আমি মৃত্যুর পরে, আমি না শুধু আমার সমস্ত পরিবার এ এলাকাবাসির প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো। কারণ নির্বাচনে আমার প্রতিদন্ধি সে অনেক চিত্ত ও বিত্তশালী। চিত্তর কথা বলবো না বিত্তশালী অর্থের অভাব ছিলো না। অনেক শিল্পপতি ছিল, কিন্তু আমার বাবা ও ছেলে দুজনেই মিলে এই নির্বাচনটা করেছি। বিপুল ভোটে প্রায় ৮ হাজার ভোট বেশি পেয়ে আমি নির্বাচিত হয়েছি। সেখানে টাকাও হার মেনেছে, এই মানুষের ভালোবাসা এবং আবেগ দিয়ে নয় বিবেক দিয়ে মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে। এজন্য আমি ১৭নং ওয়ার্ড বাসির প্রতি কৃতজ্ঞ।
প্রশ্নঃ আপনি তো আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত। আপনার এই সদর ও বন্দরের সাংসদ তো জাতীয় পার্টির। উনি আপনার কর্মকান্ডকে কিভাবে মূল্যায়ন করছেন?
উত্তরঃ ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আমার সাংসদ সম্পর্কে জানার জন্য। তিনি পাঁচ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি দুই দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টি থেকে আমি সত্যিকার অর্থে আমার নারায়নগঞ্জ শহর হচ্ছে আল্লাহর অনেক ওলী ওয়ালাদের পদধূলি আছে বিধায় আমরা দুজন ফেরেশতা সমতুল্য সংসদ সদস্য পেয়েছি। আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আমি দেখতে পেয়েছি। বাংলাদেশে কাউন্সিলর বলেন-এমপি বলেন নির্বাচনের পূর্বে অনেক অঙ্গিকার করে। কিন্তু নির্বাচনের পরে তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু এর ভিন্নতম রুপ হচ্ছে আমরা নারায়ানঞ্জ এর দুজন সংসদ একজন হচ্ছে ৪ আসন এর মাননীয় সংসদ, জনাব আলহাজ¦ এ.কে.এম শামীম ওসমান। ৫ আসনের মাননীয় সংসদ জনাব আলহাজ¦ এ.কে.এম সেলিম ওসমান। তারা নিজের কষ্টের উর্পাজিত টাকা দিয়ে যেভাবে শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। সেই মেরুদন্ডকে স¦ক্রিয় রাখার জন্য নিজের কষ্টের উর্পাজিত কোটি কোটি টাকা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং রাস্তা-ঘাট যে ভাবে উন্নয়ন করেছেন। এটা ইতিহাস বিরল একটা ঘটনা। আমি যতগুলো কথা বলেছি প্রত্যেকটি কথা অবশ্যই দেশ বাসির হিসাবে জনগন স্বাক্ষী। কারণ সকলেই দেখেছেন যে নির্বাচন এর পূর্বে, মন্ত্রী বলেন এমপি বলেন, অনেকেই এই অঙ্গীকার করেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে অনেক কেই খুঁেজ পাওয়া যায় না। কিন্তু ভিন্নতম দু’জন ফেরেস্তা সমতুল্য সংসদ সদস্য পেয়েছি। এজন্য আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী গর্বিত এবং আনন্দিত আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করবো তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করার জন্য কারণ আমার ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, বাংলাদেশের যতগুলো এমপি মহোদয় আছেন তাদের থেকে গত টার্মে তিনি যে উন্নয়ন নিয়ে এসেছেন। নারায়ণগঞ্জ এর জন্য বাংলাদেশে সেটাও ইতিহাস বিরল। এত টাকা কেউ নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য আনতে পারেনি এবং তিনি এমন উন্নয়ন করেছেন, যে উন্নয়ন নারায়ণগঞ্জবাসী জীবনে কল্পনা করেননি। কখনো এই দিক দিয়ে রাস্তা হবে, শুধু রাস্তাই হয় নাই, সেগুলো আরসিসি ঢালাই দিয়ে এতো সুন্দর রাস্তা হয়েছে, যা আমার নারায়ণগঞ্জবাসী কখনো স্বপ্নেও কল্পনাও করেননি। আমরা সত্যিকারের অর্থে যে গ্রামেগঞ্জে যে ধরনের উন্নয়ন করেছেন এটা ইতিহাস বিরল।
প্রশ্নঃ নারায়ণগঞ্জে চলমান রাজনীতি, বিশেষ করে আওয়ামীলীগ সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় নারায়ণগঞ্জে রাজনীতি আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করছেন?
উত্তরঃ নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি অনান্য শহর থেকে আমার নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির অবস্থান খুব ভালো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামীলীগ একটি সবচেয়ে বড় দল। সে দলের একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে বলতে চাই যে আমরা অনান্য শহরের তুলনায় আমার নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি অনেক ভালো, পরিস্থিতি খুবই ভালো।
প্রশ্নঃ ১৭নং ওয়ার্ডবাসিকে নিয়ে আপনার আগামী দিনের পরিকল্পনা কি?
উত্তরঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যে অঙ্গিকারে করেছেন সে অঙ্গিকারে আমি একজন মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য হিসাবে এবং দেশ ও দেশের নাগরিক হিসাবে আমি মনে করি যে, আমার এই এলাকাবাসিকে নিয়ে আমি একটা ডিজিটাল ১৭নং ওয়ার্ড এলাকাবাসিকে উপহার দিবো। সে ডিজিটাল ওয়ার্ড এ থাকবে সমস্ত রাস্তাজুড়ে এলইডি লাইট। যে অন্ধকার এর কারনে মানুষ চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এবং মাদক সেবন করতো। সেগুলো থেকে আমার এলাকাবাসি মুক্তি পাবে এবং ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া এবং দুস্থ গরিবদের পাশে দাড়াঁনো এবং বেকারত্ব দূর করা, যারা শিক্ষিত তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া এটাই হচ্ছে আমার মূলত অঙ্গিকার।
প্রশ্নঃ ধন্যবাদ, বাংলাদেশের জন্য আজকে একটা বিশেষ দিন। আজকে আওয়ামীলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এই দিনটিকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করছেন?
উত্তরঃ ধন্যবাদ, আপনি খুব সুন্দর একটি প্রশ্ন করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যদি টঙ্গিপাড়ায় জন্ম না হতো তাহলে আজকে বাংলাদেশে এই আওয়ামীলীগের জন্ম হত না। আজকে আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে বলেই যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন বাংলা মায়ের শ্রেষ্ট সন্তানেরা নয় মাস যুদ্ধ করে যে বাংলাদেশ নামে একটি লাল সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছেন। আজকে আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি আমরা বাঙ্গালী জাতি আমাদের ভাষা বাংলা ভাষা। এই জন্যই আজকে আপনারা একটা জিনিস চিন্তা করে দেখেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স) কে যদি সৃষ্টি আল্লাহ পাক না করত তাহলে পৃথিবী সৃষ্টি করতেন না। আমরা গর্ববোধ করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের যদি জন্ম না হত আজকে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন পতাকা পেতাম না এবং তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে সেই বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন এই দেশকে স্বাধীন করে। বাঙ্গালী জাতির মুখে হাসি ফুটানো। সে হাসিকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আজকে প্রশংসিত করেছেন। এই বাঙ্গালী জাতিকে আজকে প্রস্ফুটিত করেছেন। বাঙ্গালী জাতির আজ অভাব নেই, গরীবের সংখ্যা খুব কম, একটি গরীব দেশ হিসেবে আমরা পরিচিত ছিলাম। আজকে বাংলাদেশ মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৫ সনে ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর সমস্ত পরিবারকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে তাদেরকে আমি ঘৃণার চোখে নিন্দা জানাচ্ছি। ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর আত্বার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ যদি বাঁচিয়ে রাখে আমরা ১০০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করতে চাই।
উপস্থাপক: আমরা কথা বলছিলাম নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ড এর সবচেয়ে জনপ্রিয় কাউন্সিলার জনাব আব্দুল করিম বাবুর সাথে। ইতিমধ্যে শুনেছেন উনি উনার এলাকাকে কিভাবে গড়েছেন, রাজনীতি, দেশের চলমান পরিস্থিতি আগামী দিনের স্বপ্ন নিয়ে উনার অনেক কথাই শুনলাম। আমাদের অনুষ্ঠান শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। তার আগে আমি আরেকটি প্রশ্ন করি আমি এস এম ইকবাল রুমী বিদায় নিচ্ছি আমার শেষ প্রশ্নটি হলো..
প্রশ্নঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন সেই সোনার বাংলা গড়তে দলের নেতা কর্মীদের কেমন হওয়া উচিত?
উত্তরঃ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং তার সফলতা করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আমাদের দেশবাসিকে কথায় বিশ^াসী না হয়ে কাজে বিশ্বাসী হতে হবে। কাজেই প্রমাণ করতে হবে তাহলেই একমাত্র সোনার বাংলা করা সম্ভব। আসুন আমরা সকলে মিলে মিশে দেশটাকে ভালবেসে সোনার বাংলা গড়ার প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হই। জেডটিভি এবং দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু”।

আরো খবর