1. argupress17@gmail.com : MS Islam Argu : MS Islam Argu
  2. zakircomputerit@gmail.com : ZTV Online : ZTV Online
  3. imranjeshan@gmail.com : ZTV Online : ZTV Online
  4. rasel01723@gmail.com : ZTV Online : ZTV Online
  5. admin@ztvonline.tv : ZTV Online : ZTV Online
সিদ্ধিরগঞ্জ নতুন আইলপাড়ায় নারী কেলেঙ্কারি ও গোয়াইরা মিজান এর আঘাতে রুবেল রক্তাক্ত জখম  - ZTV Online
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

সিদ্ধিরগঞ্জ নতুন আইলপাড়ায় নারী কেলেঙ্কারি ও গোয়াইরা মিজান এর আঘাতে রুবেল রক্তাক্ত জখম 

জেডটিভি অনলাইন
  • প্রকাশ: শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৮০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি- নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড এর পাঠানটুলী নতুন আইল পাড়া এলাকার নারী লোভী ও নারী কেলেঙ্কারি গোয়াইরা মিজানুর রহমান (৪৫) এর আঘাতে মৃত আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এর পুত্র মোঃ রুবেল (৪২) রক্তাক্ত জখম হয়। এ বিষয়ে রুবেল বাদী হয়ে  সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মিজানের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচারের দাবীতে  একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা যায় ।
ভুক্তভোগী রুবেল বলেন ২৮ জুন বাদ আছর মিজান একটি প্রাইভেট কারে আমার বাসার সামনে দিয়ে যাবার সময় সে তার গাড়িটি আমার দোকানের সাটারের সাথে লাগিয়ে দিয়ে ক্ষতি সাধন করে। আমি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত ও রাগান্বিত হয়ে গাড়িতে থাকা লোহার রড় নিয়ে নেমে এসে আমাকে গালাগালি করতে থাকে এবং বলে রাস্তার পাশে থাকলে এমন হবেই। আমি এর প্রতিউত্তর দিতে গেলেই তার হাতে থাকা রড দিয়ে আমাকে আঘাত করে। এবং বলতে থাকে তোর কোন বাপ আছে আসতে বল, আজ তোকে মেরেই ফেলবো। আমার চিৎকার শুনে বাসা থেকে লোকজন বের হয়ে আসলে সে সহ তার সাথে থাকা একটি ছেলে ও তার স্ত্রী গাড়ীতে উঠে দ্রুত চলে যায়।  মিজানের রডের বাড়ির আঘাতে আমি বাম হাতে, আঙ্গুলে ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হই এবং রক্তাক্ত জখম হয়ে পরিবারের লোকজন ও  এলাকাবাসী সহযোগিতায় প্রাণে বেচে গিয়ে  খানপুর হাসপাতালে প্রাথমিক  চিকিৎসা শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এ এস আই কামাল রাতে  এসে পরিদর্শন করে যান এবং পরবর্তীতে আবার এসে ঘটনার সময় প্রত্যক্ষ স্বাক্ষীদের জবানবন্দি শুনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন এটা  বলে যান।
অপরদিকে মিজানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি গাড়িতে বাড়ি পথে আসার সময় অসাবধান বসত গাড়ি দোকানের সাটারে লাগে। গাড়ি লাগার শব্দ শুনে রুবেল ও তার ভাই লাঠি নিয়ে আমাকে মারতে আসে। তাদের লাঠির আঘাত আমার স্ত্রীর শরীরে ও আমার উপর পড়লে আমি সেই লাঠি কেড়ে নিয়ে তাদের উপর মারতে থাকি। আমি কোন অন্যায় করিনি। বাংলাদেশের যে কারো কেন সয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দিলেও আমার কিছু হবেনা। আমি গাড়ির রোড পারমিট দেই রোড়ে গাড়ি চলতে গেলে কিছুর সাথে লাগলে সমস্যা নেই। আমিও থানায় অভিযোগ করেছি। দেখি কার ক্ষমতা কতটুকু।
স্থানীয় এলাকার লোকজনের সাথে মিজানের বিষয়ে কথা বলে জানা যায় যে, দীর্ঘ কয়েক বছর আগে মিজানের পরিবার এখানে বসতি শুরু করে। তার পিতা একজন ভালো মানুষ ছিলেন কিন্তু মিজান তার পিতার কোন আদর্শ পায়নি। বরং মিজান উল্টো চরিত্রের। মিজান একজন নারী লোভী ও বদমেজাজি লোক। তার আচার আচরণ ও স্বভাব ভালো  না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।  সে টাকার ক্ষমতায় প্রভাবশালীর সাথে সক্ষতা তৈরি করে সেই প্রভাবে এলাকার নিরীহ মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। এ পর্যন্ত এলাকার অনেক সাধারণ ও নিরীহ মানুষকে সে মারধোর করেছে। শুধু তাই নয় তার হাতে নির্যাতিত হয়েছে মসজিদের মুসল্লীও। তার রয়েছে নারীদের প্রতি লোভ লালসা। একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরবর্তী বিয়ে না করে তাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে বিদায় করে দেয়।
এলাকার লোকজন ও ভুক্তভোগীর দাবী অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দ্রুত মামলা দায়ের করে তাকে আইনী ভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। তার অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ট।
আরো খবর