দলের এই দুঃসময়ে নিহত মমিনউল্লাহ্ ডেভিড ও কুতুবপুরের সন্তান বহিস্কৃত মনিরুল ইসলাম সেন্টু কে ভীষন প্রয়োজন ছিলো। মনিরুল আলম সেন্টুকে যে অপরাধে বহিষ্কার করা হয়েছে তার চাইতে ও অধিক বেশী অপরাধ করে অনেকেই বর্তমানে দিব্বি বিএনপির রাজনীতি করছে।
রোববার বিকেলে ফতুল্লার কুতুবপুরে ভুইগড় কাজী বাড়ী এলাকায় অনুষ্ঠিত পুলিশের গুলিতে আহত ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর সুস্থাতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,আজকে আমরা এমন একটি ইউনিয়নে দাড়িয়ে কথা বলছি, যে কুতুবপুর ইউনিয়নের সন্তানেরা এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে হামলা- মামলা উপেক্ষা করে রাজপথে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
শহিদুল ইসলাম টিটু বিএনপির তৃনমূল পর্যায় থেকে রাজনীতি করে আজকের পর্যায়ে উঠে এসেছেন। তিনি উড়ে এসে আজ নেতা হয়নি। টিটু সেদিন পুলিশের গুলিতে মারা গেলে আজকের সভাটি অন্যরকম হতো।
শহিদুল ইসলাম টিটুর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে থানা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে সমালোচনা করে তিনি বলেন,আজকের দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে না আসার জন্য বিএনপির কতিপয় নেতারা চেস্টা করেছেন এবং অনেককেই এখানে না আসার জন্য উৎসাহিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কুতুবপুরের সন্তান মনিরুল আলম সেন্টু ও নিহত মমিনউল্লাহ ডেবিড বিএনপির এই দুঃসময়ে আজ খুব দরকার ছিলো।
মনিরুল আলম সেন্টু কে যে অপরাধে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এর চাইতে ও অধিক অপরাধ করে এখনো অনেকেই দিব্বি বিএনপির রাজনীতি করছে।
শেখ হাসিনা সরকার কে বিতাড়িত করতে হলে মাইকে ঘরোয়া ভাবে ঘোষনা করে বা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে, ডায়লগ মেরে তাড়ানো যাবেনা। বর্তমান সরকার দূর্বল হয়ে এসেছে সত্যি তাই বলে তাকে সহজেই বিতাড়িত করা যাবেনা।
এ সরকার কে হটাতে হলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাজপথে লড়তে হবে। কে এমপি হবেন, কে মন্ত্রী হবেন তা পরে চিন্তা করুন এখনই ভেদাভেদ করবেন না। তাহলে মনে করবো যারা ভেদাভেদ করতে চাইছেন তারা ভুল করছেন।আগে হাসিনা সরকার হটান পরো মন্ত্রী, এমপি হওয়ার চিন্তা করবেন।
তিনি শহিদুল ইসলাম টিটুর গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আগামীতে প্রতিবাদ সভার আহবান করেন।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহ্বাজ মোঃ আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডঃ আব্দুল বারী ভূইয়া। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা বিএনপির আলহ্বাজ সুলতান মাহমুদ মোল্লা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ- সভাপতি নাজির প্রধান,সহ- সভাপতি হাজী মোঃ শহিদুল্লাহ, সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বাবুল আহম্মেদ।