1. argupress17@gmail.com : MS Islam Argu : MS Islam Argu
  2. zakircomputerit@gmail.com : ZTV Online : ZTV Online
  3. imranjeshan@gmail.com : ZTV Online : ZTV Online
  4. rasel01723@gmail.com : ZTV Online : ZTV Online
  5. admin@ztvonline.tv : ZTV Online : ZTV Online
মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ে চরম অনিয়ম - ZTV Online
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ে চরম অনিয়ম

জেডটিভি অনলাইন
  • প্রকাশ: বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩
  • ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মান কাজ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্মান কাজে নিম্ম মানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ফুসে উঠছে। তবে স্কুলের সভাপতি ও ঠিকাদার মিলে অসৎ উদ্দেশ্যে নিম্ম মানের মালামাল ব্যবহার করেছেন। স্কুলের উন্নয়নের স্বার্থে এলাকার লোকজন আন্দোলন সহ ভবনের নির্মান কাজ বন্ধ করার হুশিয়ারী দিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে নিম্ম মানের ইট ব্যবহার করার সময় এলাকাবাসী বাধা দেয়া সহ হৈচৈ এর কারণে ঠিকাদার মামুন ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং উন্নয়ন কমিটির লোকদের সামনে ঠিকাদার ওয়াদা করে যায় সামনে কোন নিম্ম মানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করবে না এবং বাধা দেয়াকৃত ইট গুলো নিয়ে যাবে। কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার কয়েকদিন পর নিন্ম মানের ইট না সরিয়ে রাতের আধারে সেই ইট ব্যবহার করে ফেলে৷ তবে স্কুলের সভাপতি এমএ মান্নান ও ঠিকাদার মিলে রাতের আধারে ২নং ইট ব্যবহার করে ফেলেছে। এতে করে এলাকার লোকজন রোববার সকালে স্কুলের সামনে গিয়ে হৈচৈ শুরু করে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লার মুসলিনগর এলাকা অবস্থিত মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য সরকারি ভাবে ৯৬ লাখ টাকা অনুদান আসে। সরকারি নিয়মে ভবনের কাজ পায় ঠিকাদার মামুন। কাজ পাওয়ার পর ঠিকাদার মামুন স্কুলের সভাপতি এমএ মান্নানের সাথে সখ্যতা করে কাজ শুরু করে। কাজ শুরুতে বালু থেকে শুরু করে ইট, রড, সিমেন্ট নিন্ম মানের মালামাল ব্যবহার করে। হঠাৎ একদিন রাস্তায় ২ নং ইট দেখে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে বাধা দেয়। পরে ঠিকাদার এবং কমিটির লোকজন স্পষ্ট ভাবে বলে দেয় ২ নং ইট সরিয়ে নিয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে ভবনে নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যবহার করবে না। পরে এলাকার লোকজন শান্ত হয়। কিন্তু কয়েকদিন পর নিন্ম মানের ইট সরিয়ে না নিয়ে সেই গুলো রাতের আধারে ব্যবহার করে ফেলে। এমন সংবাদ পেয়ে এলাকাবাসী আবারও ফুসে উঠে। স্কুলের দাতা সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কারো একার নয়। এটা সকলের। ভবনে নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যবহার করুক এটা আমরা কিছুতেই চাই না। স্কুলের নতুন ভবনে নিন্ম মানের ইট লাগাতে গিয়ে যখন এলাকাবাসীর বাধা মুখে পড়ে তখন ঠিকাদার নিম্ম মানের ইট না লাগিয়ে সরিয়ে নিবে। এই কথা বলার পর কেন আবার নিন্ম মনের ইট গুলো লাগিয়ে থাকলে মোটেও ঠিক করে নাই। আমরা চাই না স্কুলের নতুন ভবনে নিন্ম মানের মালামাল লাগানো হলে আমরা মেনে নিতে পারি না। ঠিকাদার মামুন জানান, ইট ভাটা থেকে যখন নিন্ম মানের মাল পাঠিয়েছে আমি দেখে সরিয়ে নেয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু এক গাড়ি ইট আনতে গিয়ে খরচ বেশি হবে বিধায় স্কুলের সভাপতি এমএ মান্নানকে অনুরোধ করে ঐ ইট গুলো লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। সামনে আর কোন নিন্ম মানের মালামাল ব্যবহার করা হবে না। স্কুলের সভাপতি এমএ মান্নান জানান, নিন্ম মানের ইট সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাতের আধারে ঐ ইট গুলো লাগানো হয়েছে কিনা আমি জানি না। ঠিকাদার কি মাল লাগাচ্ছে তা আমার একা দেখার কথা নয়। স্কুলের উন্নয়ন কমিটি আছে সব কিছু উন্নয়ন কমিটি দেখবে। কাজ করবে ঠিকাদার, কাজ শেষ হওয়ার পর স্কুল কমিটি বুজে নিবে।

আরো খবর