হাসপাতালের চিকিৎসকদের দীর্ঘদিনের চাহিদা ও রোগীদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরে জেলা পরিষদের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে এসব কিট সরবরাহ করেন জেলা প্রশাসক। এতে করে হাসপাতালটির চলমান সংকট অনেকটাই লাঘব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাসার, জেলা পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দসহ হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ।
সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক অত্যন্ত জনবান্ধব কর্মকর্তা। ডেঙ্গু প্রতিরোধে তার গ্রীন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। এর ফলে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার তুলনামূলকভাবে কম। গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাসার বলেন, ডেঙ্গু কিটের অভাবে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছিলাম। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দেওয়া কিটগুলো আমাদের রোগীদের যথাযথ সেবা প্রদানে সহায়ক হবে।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশপাশে পানি জমতে দেওয়া যাবে না, মশারি ব্যবহার করতে হবে এবং ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি হাসপাতাল দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের ভরসাস্থল। এখানে সাশ্রয়ী চিকিৎসা পাওয়া যায়। তাই এসব হাসপাতালে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করা জরুরি।
অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন এবং রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি নারকেল গাছের চারা রোপণ করেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৬ এপ্রিলও তিনি খানপুর হাসপাতালে পরিদর্শনে যান। তখন হাসপাতালের নিচু নিরাপত্তা প্রাচীর ও ছিনতাইকারীদের উৎপাতের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। ইতোমধ্যে তিনি হাসপাতাল চত্বরে উঁচু বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ, স্থায়ী আনসার ক্যাম্প স্থাপন, হুইলচেয়ার সরবরাহ এবং হাসপাতাল এলাকায় ১,০০০ গাছ উপহার দেন।