ফতুল্লা মুসলিমনগরে মাদক সেবন ও বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় এলাকাবাসির উপর সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর, কুপিয়ে গুরুতর জখম করার প্রতিবাদে ও স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সম্রাট গংদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন করেছে এলাকাবাসী।২৫ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ফতুল্লা মুসলিমনগর নয়া বাজার এলাকায় এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানব বন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেছেন, মাদকের ভয়াল আগ্রাসন থেকে আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য এলাকাবাসী যখন মাদক বিক্রেতা, সেবনকারী ও সন্ত্রাসীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে ঠিক তখনি স্থানীয় মাদক সিন্ডিকেট আমাদের প্রাননাশ সহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ ডিসেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় ফতুল্লা মুসলিমনগর নয়া বাজার এলাকায় আফসার উদ্দিন সুপার মার্কেটের সামনে শাসনগাও এলাকার আবদুল হাইয়ের ছেলে মাদক সিন্ডিকেটের মূলহোতা সম্রাটের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাজারের বিভিন্ন দোকান ভাংচুর, লুটপাট ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তিন জনকে গুরুতর জখম করেছে।

আমরা প্রশাসনের প্রতি আহবান করবো মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী সম্রাট ও তার বাহিনীকে গ্রেফতারের মাধ্যমে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত শাসনগাও আদর্শ পাড়া এলাকার মৃত মফিজ উদ্দীন ভুঁইয়ার ছেলে মামুন ভুইয়া বাদী হয়ে স্থানীয় আঃ হাইয়ের ছেলে সম্রাটকে প্রধাননআসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় এজাহার নামিও ১৩ জন ও অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলো মুসলিম নগরের কামাল হোসেনের ছেলে পায়েল, রাজা মিয়ার ছেলে মুছা, মোঃ মামুন, শাসনগাও এলাকার আবু তাহেরের ছেলে সালাউদ্দিন, মোঃ ফেরদৌসের ছেলে মাহাদী হাসান, বকুল মিয়ার ছেলে মোঃ লিমন, মাসদাইর এলাকার মীর জলিলের ছেলে মীর শাওন, মোঃ সোহেল, মোঃ মিলন, সজিব, বাবু, মো মিরাজ। মানব বন্ধনে মামলার বাদী গুরুতর আহত মামুন ভুইয়া বলেন, সম্রাট এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তার মাদক বিক্রি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা দেয়ায় আমাকে সহ তিনজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমরা তিনজন নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেছি।

এ ঘটনায় আমি মামলা করতে গেলে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আজম মিয়া, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী ভাই আমাকে যথেষ্ট সহযোগীতা করেছেন, আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করছি। মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন, এম এ মতিন, যুবলীগ নেতা শেখ মোঃ ইদ্রিস আলী, পলিন দওয়ান, রাব্বানী প্রধান, আনিস দেওয়ান সহ এলাকার মুরুব্বি, যুব সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।