1. argupress17@gmail.com : MS Islam Argu : MS Islam Argu
  2. zakircomputerit@gmail.com : ZTV Online : ZTV Online
  3. imranjeshan@gmail.com : ZTV Online : ZTV Online
  4. rasel01723@gmail.com : ZTV Online : ZTV Online
  5. admin@ztvonline.tv : ZTV Online : ZTV Online
নামাজ সম্পর্কিত হাদীসের বানী - ZTV Online
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন

নামাজ সম্পর্কিত হাদীসের বানী

জেড টিভি অনলাইন
  • প্রকাশ: সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলে, হে আল্লাহর রাসুল, ইসলামের কোন সিমায় পৌছুলে কেউ ফকীহ বা আলেম হতে পারে? উত্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মতের জন্য তাদের দ্বীনের ব্যাপারে ৪০টি হাদিস ইয়াদ করেছে (এবং অপরকে তা পৌছিয়েছে) কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে ফকীহ রূপে উঠাবেন। এ ছাড়া কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশকারী ও সালী হব। -বায়হাকী, মিশকাত-৩৬

১। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, বান্দার ঈমান ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হল নামায ত্যাগ করা। -আহমদ।
২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহর নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় আমল হল ওয়াক্তমত নামায় আদায় করা।- বোখারী।
৩। সালমান ফারসী থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে, ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে চল্লিশ দিন যাবত প্রথম তাকবীরের সাথে জামাতে নামায পড়বে, তার জন্য দু’টি পরওয়ানা লেখা হয়, একটি জাহান্নম থেকে অপরটি মোনাফেকী থেকে মুক্তির।- তিরমিযী।
৪। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযূ করে নামায পড়ার আশায় মসজিদের দিকে যায়, অথচ মসজিদে গিয়ে দেখে জামাত শেষ, তবু সে জামাতের সওয়াব পাবে।- আবু দাউদ।
৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যতক্ষণ মানুষ নামাষের প্রতীক্ষায় থাকে, ততক্ষণ নামাযের সওয়াব লাভ করতে
থাকে।- বোখারী, মুসলিম।
৬। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যারা রাতের অন্ধকারে বেশি বেশি মসজিদে গমন করে, তাদের কেয়ামতের দিন পূর্ণ নূরের সূসংবাদ দান কর।- ইবনে মাজা।
৭। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন বান্দার আ’মলসমূহ থেকে সর্বপ্রথম ফরয নামাযসের হিসাব নেওয়া হবে।- তিরমিযী।
৮। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে নামাযের কেরাআত লম্বা তাই শ্রেষ্ঠ নামায।- বায়হাকী।
৯। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি শীতের সময় নামায আদায় করতে অভ্যস্ত, সে জান্নতী।- বোখারী।
১০। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, কোন ব্যক্তি জামাতে নামাযের মাত্র এক রাকাত পেলেই সে জামাতের সওয়াব পেয়েছে।- বোখারী।
১১। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আছরের নামায ছেড়ে দিয়েছে, তার সব নেক আ’মল বরবাদ হয়ে গেছে।- বোখারী।
১২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নামায ভূলে যায়, স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করবে, তা না করলে এ গুনাহ মাফ করাবার কোন উপায় নেই।- বোখারী।
১৩। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, লোকেরা যদি ফজর ও এশার নামায জামাতে পড়ার ফযীলত জানত, তা হলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও নামাযদ্বয়ের জামাতে হাজির হত।- বোখারী।
১৪। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, কাতার সোজা করা নামাযের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।- বোখারী।
১৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন সাত প্রকার মানুষকে আল্লাহ পাক ছায়া দান করবেন, যার মধ্যে এক প্রকার হচ্ছে, যাদের মন নামাযের ওয়াক্তের সাথে লটকে থাকে, কখন নামাযের ওয়াক্ত হবে এবং মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করবে।- বোখারী।
১৬। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সকাল বিকাল মসজিদে যায়, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য প্রতি সকালে বিকালে ওই পরিশ্রমের প্রতিফলস্বরূপ বেহেশতে মেহমানদারীর সামগ্রী তৈরী করে রাখেন।- বোখারী।
১৭। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, ইমাম আল-হামদু সূরা শেষ করে যখন আমীন বলবে, তুমিও তখন আমীন বলো, এ সময় ফেরেশতাগণ আমীন বলে থাকেন। যার আমীন ফেরেশতাদের আমীনের সাথে হবে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।- বোখারী।
১৮। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহ পাক সাত অঙ্গের উপর সেজদা করতে আদেশ করেছেন। দুই হাত, দুই হাঁটু, দুই পায়ের সম্মুখভাগ এবং কপালের সঙ্গে নাকেও ইশারা করে দেখিয়েছেন। আরো আদেশ করেছেন, কাপড় ও মাথার চুল টেনে রাখবে না ।- বোখারী।
১৯। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমরা সুন্দররূপে স্থিরতার সাথে সেজদা করো। সেজদার সময় দুই হাত কুকুরের ন্যায় যমীনের উপর বিছিয়ে দিও না ।- বোখারী।
২০। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, সে কি ভয়ংকর যে ইমামের আগে মাথা উঠায়? আল্লাহ তার মাথা গাধার মাথার ন্যায় করে দিতে পারেন।- বোখারী।
২১। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যারা কাতারের ডান দিকে থাকেন, নিশ্চয় আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতগণ তাদের উপর দরূদ পাঠান।-আবু দাউদ।
২২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমাদের প্রতি নির্ধারিত পাঁচটি নামায পড়, এতে তোমরা তোমাদের রবের বেহেশতে প্রবেশ করবে।- আহমদ, তিরমিযী।
২৩। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমাদের সন্তানদের নামাযের জন্য আদেশ করবে যখন তাদের বয়স সাত বছরে পৌঁছবে, আর নামাযের জন্য পিটাবে যখন বয়স দশ বছর হবে।- আবু দাউদ।
২৪। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আমাদের ও মোনাফেকদের মাঝে যে পার্থক্য রয়েছে তা হচ্ছে নামায। সুতরাং যে নামায ত্যাগ করবে সে প্রকাশ্য কাফের হয়ে যাবে।- আহ্মদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজা।
২৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যার আছরের নামায ছুটে গেল, তার পরিবার ও সব ধন-সম্পদ যেন লুট হয়ে গেল।- তিরমিযী।
২৬। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে এশার নামায জামাতের সাথে পড়েছে, সে যেন অর্ধরাত নামায পড়েছে, আর যে ফজরের নামায জামাতে পড়েছে সে যেন পূর্ণ রাত নামায পড়েছে।- ইবনে মাজা।
২৭। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে সকালে ফজরের নামাযের দিকে গেল সে ঈমানের পাতাকা আর যে সকালে নামায না পড়ে বাজারে গের সে শয়তানের পতাকা নিয়ে গেল।- ইবনে মাজা।
২৮। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তির নামায ঠিক থাকবে, কেয়ামতের দিন তার সব আমলই ঠিক থাকবে।- বোখারী।
২৯। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, ঘরে নামায পড়ে ঘরকেও ফযীলত দান কর।- বোখারী।
৩০। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে লোক রুকু সেজদায় পিঠ সোজা করে না, তার নামায পূর্ণ হয় না।- বোখারী।
৩১। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, একামতের সময় আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয়। তখন সকর দোয়াকরীর দোয়াই কবুল করা হয়।- মেশকাত।
৩২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে পবিত্রতা হাসিল করে এবং সুগন্ধ ব্যবহার করে মসজিদে যায়, আর কাউকে কষ্ট না দিয়ে যেখানে জায়গা পায় সেখানেই বসে যায়, ভাগ্যে লেখা পরিমাণ নামায পড়ে, চুপ করে ইমামের খোতবা শোনে, সে জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ কর দেয়া হয়। বোখারী।
৩৩। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, দাঁড়িয়ে নামায পড়া উত্তম। বসে পড়লে অর্ধেক সওয়াব আর শুয়ে পড়লে বসে পড়ার অর্ধেক সওয়াব।- বোখারী।
৩৪। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, প্রথমতঃ নামায দাঁড়িয়ে পড়বে আর সম্ভব না হলে বসে পড়বে, তাও যদি সম্ভব না হয় তা হলে শোয়া অবস্থায় পড়বে।- বোখারী।
৩৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় ও প্রিয় নামায হল দাউদ (আঃ)- এর নামায। তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন, রাতের তৃতীয়াংশে নামায পড়তেন এবং পুনরায় ষষ্ঠাংশে ঘুমাতেন।-বোখারী।
৩৬। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, প্রত্যেক রাতের যখন এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তখন আল্লাহ পাক দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন এবং বান্দাকে আহবান করে বলতে থাকেন, কে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব, কে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব।- বোখারী।
৩৭। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, নামাযের মধ্যে ইমামকে কোন ঘটনায় সতর্ক করা আবশ্যক হলে পুরুষগণ সুবহানাল্লাহ বলবে।- বোখারী।
৩৮। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমাদের কেউ নামাযে দাঁড়ালে শয়তান এসে নানা প্রকার বাধা সৃষ্টি করে, ফলে নামাযী কত রাকাত পড়েছে তা ভূলে যায়। কেউ এ অবস্থার সম্মুণীন হলে শেষ বৈঠকে দুটি সেজদা করবে।- বোখারী।
৩৯। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহ তা’আলা মুসাফির থেকে চিরতরে অর্ধেক নামায উঠিয়ে দিয়েছেন।- আবু দাউদ, তিরমিযী।
৪০। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, ফরয নামাযের পরে রাতের নামাযই শ্রেষ্ঠ।- মুসলিম।
আরো খবর